রহমত নিউজ 15 August, 2024 07:13 PM
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েও চুপ করে বসে নেই বরং সেখান থেকে উস্কানি দিয়ে জনগণের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাকে নৎসাত করতে এ দেশীয় দোষরদের মাঠে নামিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। পরাজিত শক্তি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করতে নানামুখী চক্রান্ত করছে। তাদের ষড়যন্ত্র রখতে পাড়া মহল্লায় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ঐক্যবদ্ধভাবে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজ (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনার শাসনামলে পিলখানায় নিহত ও আহত সেনা সদস্য, ২০১৩ সালে নিহত ও আহত হেফাজতের নেতা কর্মী, ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা নিহত ও আহত হয়েছে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে আর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। এবং আগামীকাল ১৬ আগস্ট দেশব্যাপী নৈরাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলসহ রাজপথে নামতে দেশবাসী ও দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, এদেশের মানুষ অতীতেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করছে বর্তমানেও করছে যার দৃষ্টান্ত মাদরাসার ছাত্র ও ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘু ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় ও ঘর-বাড়ি পাহারা দিয়েছে। কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আগস্ট মাস দেশের জনগণের জন্য বিজয়ের মাস। জাতির চেতনার সাথে সহমত পোষণ করে ৫ আগস্টের বিপ্লবকে মহিমান্বিত করার জন্য ১৫ আগস্টের শোক দিবস বাতিল করায় অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
ণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী বলেছেন, আমাদেরকে বলে আমরা পাকিস্তান কায়েম করতে চাই। পাকিস্তান কায়েম করতে চাই না। আমাদের কেউ পাকিস্তানেও পালায়নি। আমরা মদিনার ইসলাম কায়েম করতে চাই। তিনি বলেন, জনগণের কাছে স্পষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার ও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চক্রান্ত করেছে। তাই হাসিনা ভারতে পালিয়েছে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর দক্ষিণ শাখা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ আমীনির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নূরমোহাম্মদ আজিজী, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন রাজী, দক্ষিণের সহ সাধারণ মাওলানা মুহাম্মদ রিজওয়ান হুসাইন, ইসলামী ছাত্রমজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ আশিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কেদ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মাওলানা হাসান জুনাঈদ, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, মহানগর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান ও শ্রমিক মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা খায়রুল ইসলাম ঠাকুর প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে একটি বিশাল গণমিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।